ভালোবাসা পাওয়া বিরল, তাই বিয়ে ছেড়ে গুহাবাসী হলেন যুবক
আপলোড সময় :
১২-০৬-২০২৫ ১২:০২:৩১ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১২-০৬-২০২৫ ১২:০২:৩১ অপরাহ্ন
চীনের এক যুবক বিয়ে এবং চাকরিকে সময় ও অর্থের অপচয় মনে করেন। সমাজ ও পরিবারের চাপে বারবার প্রস্তাব পেলেও শেষ পর্যন্ত বিয়ে না করে বেছে নিয়েছেন একান্ত নির্জন জীবন। দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের সিচুয়ান প্রদেশের বাসিন্দা ৩৫ বছর বয়সী মিন হেংকাই এখন গুহাবাসী।
চার বছর ধরে গ্রামের একটি গুহায় বাস করছেন মিন। আগে শহরে রাইড-হেইলিং ড্রাইভারের চাকরি করতেন তিনি, মাসিক আয় ছিল ১০ হাজার ইউয়ান (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় দেড় লাখ টাকা)। কিন্তু দ্রুতই সেই চাকরি ছেড়ে দিয়ে নির্জন জীবনের খোঁজে গ্রামের গুহায় ফিরে আসেন।
২০২১ সালের শেষ দিকে গুহার মালিকের সঙ্গে অদলবদলের মাধ্যমে তিনি গুহাটিকে নিজের বাসস্থান বানান। ৫০ বর্গমিটার আয়তনের গুহাটি সাজাতে খরচ করেন প্রায় ৪০ হাজার ইউয়ান। সেখানে তিনি নিজের প্রয়োজন মতো জমিতে চাষ করেন, সবজি খান এবং খুবই সীমিত খরচে জীবন চালান।
মিন জানান, তিনি এখনও ব্যাংক ও ঋণ সংস্থার কাছে প্রায় ৪২ হাজার ডলার ঋণী। আত্মীয়রা তার সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়েছে, যেটা দিয়ে ঋণ শোধ করা যেত।
প্রতিদিন সকাল ৮টায় ঘুম থেকে ওঠেন, হাঁটাহাঁটি করেন, চাষাবাদ করেন আর রাত ১০টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েন। এখন তার একমাত্র রোজগারের উৎস হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ স্ট্রিমিং। “ব্ল্যাক হোল” নামে নিজের গুহা থেকে তিনি দর্শকদের সঙ্গে সংযোগ রাখেন। তার অনুসারীর সংখ্যা এখন প্রায় ৪০ হাজার।
বিয়ে সম্পর্কে তার মত, “এটা সময় ও অর্থের অপচয়। সত্যিকারের ভালোবাসা পাওয়া যায় না। এত কষ্ট করে কল্পনার পেছনে ছুটবো না।”
চীনের সামাজিক মাধ্যমে মিনের জীবনধারা নিয়ে তীব্র আলোচনা চলছে। অনেকে বলেন, তিনি “তাং পিং”-এর অনুসারী, অর্থাৎ যতটুকু দরকার ততটুকু আয় করে ন্যূনতম জীবন যাপন। আবার কেউ কেউ তাকে “সত্যিকারের দার্শনিক” বলেও আখ্যা দিয়েছেন। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, গুহাবাসী হয়েও তিনি কীভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : mainadmin
কমেন্ট বক্স